Uncategorized

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা

জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে, প্রতিটা কাজ করার সময় স্মৃতিশক্তির ভূমিকা অনেক। যার স্মৃতিশক্তি যত বেশী, সে তার পেশাগত বা শিক্ষাজীবনে তত বেশী উন্নতি করতে পারে। স্মৃতিশক্তি বৃধি বা মগজের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যই অনেকেই অনেক কিছু করেন। যেমন – মেডিটেশান, বিভিন্ন বুদ্ধির খেলায় অংশ নেওয়া। কিন্তু এসব করার পাশাপাশি পুষ্টিকর কিছু খাবার গ্রহণ করলেও আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অনেক বৃসশি পায়, এ কথা জানতেন কি? অনেক খাবার আছে যেগুলো সুষম পরিমাণে খেলে মগজের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায় বহুগুণ।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা

গ্রিন টি বা সবুজ চা

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর একটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাবার বা পানীয় হলো গ্রিন টি। University of Basel তাদের এক গবেষণায় দেখেছে যে, গ্রিন টি- এর নির্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যারা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন তাদের কাজের মনোযোগ যারা দুধ চা পান করেন তাদের থেকে বেশি হয়ে থাকে। তাই প্রতিদিন এক থেকে দুই কাপ গ্রিন টি পান করার চেষ্টা করুন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য।

বিভিন্ন ধরণের ফল, ফলের নির্যাস ও জুস

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধির নিমিত্তে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন জাম, লিচু, কমলা, স্ট্রবেরি, আপেল, কালোজাম বা আঙ্গুরের মত ফল। ফলগুলোতে রয়েছে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা ব্রেইনের কোষের অক্সিডেশন এবং ক্রমাগত ক্ষয়ে যাওয়া রোধ করে। নিয়মিত এসব ফলের কেমিক্যালহীন খাঁটি জুস পান করলে ব্রেইনের অশেষ উপকার সাধন হয়। অর্থাৎ ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ব্লু বেরী ব জামকে ব্রেইনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর খাবার বলে ধরা হয়, কেননা তা আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধে সহযোগিতা করে ও শেখার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত গ্রহণ করুন জাম ফল, ও জামের বিচি গুঁড়া।

বিভিন্ন ধরণের বাদাম

বুদ্ধির বিকাশের জন্য সাশ্রয়ী খাবারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের বাদাম। বিভিন্ন ধরণের বাদামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই, ওমেগা ৩ ও বিভিন্ন এন্টি-অক্সিডেন্ট। বিভিন্ন বাদামের এই উপাদান সমূহ স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।এছাড়া কাজু বাদামও ব্রেনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। আমেরিকান জার্নাল অব এপিডেমিয়োলজি’তে প্রকাশিত একটি গবেষণা থেকে জানা যায় ভিটামিন ই স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া কমাতে সাহায্য করে, বিশেষত বৃদ্ধ বয়সে। বাদাম যেমন- কাঠবাদাম ও আখরোট ভিটামিন ই’য়ের ভালো উৎস। তাই বিকালের নাস্তার একটি অংশ হিসেবে বাদামকে বেছে নিতে পারেন।

ডিম

ডিমের কুসুম কোলিন নামক অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানে ভরপুর যা কোষে সংকেত পৌঁছাতে সাহায্য করে। আর ‘শর্ট-টার্ম মেমোরি’ স্বল্প সময়ের স্মৃতি উন্নয়নে সাহায্য করে। তাই স্মৃতিশক্তির বিকাশে  ডিম গ্রহণ করুন নিয়মিত।

খাঁটি দুধ

বুদ্ধির বিকাশে অন্যতম উপকারী খাবার হল খাঁটি দুধ। খাঁটি দুধের মধ্যে রয়েছে মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইডস, যা বুদ্ধির বিকাশের অন্যতম নিয়ামক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *