Blog
হিমালয়ান পিংক সল্ট ত্বকের যত্নে কতটা কার্যকরী এবং কিভাবে ব্যাবহার করবেন জানেন তো?
Pink Salt Benefits – এই প্রাকৃতিক পিঙ্ক সল্ট শুধুমাত্র স্বাদে বা দেহের অভ্যন্তরীণ কাজে নয়, রূপচর্চাতেও অনন্য। বিশেষত, বয়সজনিত ত্বকের সমস্যা মোকাবিলায় এটি খুবই কার্যকরী উপাদান হিসেবে বিবেচিত ।
হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট কী?
হিমালয় পর্বত থেকে খনন করা এই প্রাকৃতিক লবণ অপরিশোধিত এবং সম্পূর্ণ রাসায়নিকমুক্ত। এতে রয়েছে প্রায় ৮৪টি খনিজ উপাদান যার মধ্যে আছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ইত্যাদি।

ত্বকে Pink Salt Benefits / পিঙ্ক সল্টের উপকারিতা
ত্বকে বয়সের ছাপ কমায়ঃ
পিঙ্ক সল্টে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের কোষগুলিকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকে যে বয়সের ছাপ,বলিরেখা দেখা যায় তা হ্রাস করতে সহায়ক এই পিঙ্ক সল্ট।
ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান ত্বকের কোষে পুষ্টি বজায় রাখে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে ত্বককে রাখে টানটান ও মসৃণ।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখেঃ
এই প্রাকৃতিক পিঙ্ক সল্টে আছে ম্যাগনেসিয়াম যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। রুক্ষতা, খসখসে ভাব কমায় এবং শুষ্ক ত্বক যা বয়স বাড়ার সঙ্গে বাড়ে তা অনেকটাই কমানো যায় নিয়ম মেনে হিমালয়ান সল্ট ব্যবহার করে।
ত্বকের মৃত কোষ দূর করেঃ
হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট স্ক্রাব হিসেবে অত্যন্ত উপকারী। নারকেল তেল, কাঠবাদাম তেল বা জোজোবা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব হিসাবে ব্যবহার করলে ত্বকের মৃত কোষ দুর করে। ত্বক হয় মসৃণ, উজ্জ্বল এবং তরতাজা।
ত্বকের রন্ধ্রপথ ছোট করে দূষণ রোধ করেঃ
ত্বকের ওপরে দূষণ জমে থাকা এবং রন্ধ্র বড় হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বয়সের সাথে বাড়তে থাকে। হিমালয়ান পিঙ্ক সল্টের উপাদান ধুলোময়লা বের করে রন্ধ্রপথকে করে টাইট এবং ত্বককে করে স্বাস্থ্যকর।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
একজিমা, ডার্মাটাইটিস, বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগে হিমালয়ান সল্ট বাথ অত্যন্ত কার্যকরী। এটি ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে।
ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স রক্ষা করেঃ
ত্বকের প্রাকৃতিক পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখা জরুরী ,বিশেষত বয়সের সাথে সাথে ত্বকের সুরক্ষা স্তর দুর্বল হয়ে পড়ে। হিমালয়ান পিঙ্ক সল্টের খনিজ উপাদান এই পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখতে সাহায্য করে, ফলে ত্বক থাকে সুস্থ ।
কীভাবে Pink Salt ব্যবহার করবেন?
- ১ টেবিল চামচ হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট
- ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল / কাঠবাদাম তেল
- ১ চা চামচ মধু বা কফির গুঁড়ো
- এই মিশ্রণটি মুখ, হাত-পা এবং ঘাড়ে ব্যবহার করে হালকা হাতে ঘষুন , পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার করলেই যথেষ্ট।
সল্ট বাথ:
গরম পানিতে হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট মিশিয়ে গোসল করলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে, পেশির ক্লান্তি দূর হয় এবং ত্বক হয় মসৃণ ও উজ্জ্বল।Learn More……………
কিছু সতর্কতা:
ত্বকের চিকিৎসকেরা মনে করেন, যদিও হিমালয়ান সল্ট নিরাপদ, তবুও অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বক অতিরিক্ত শুকিয়ে যেতে পারে বা সংবেদনশীল ত্বকে জ্বালা হতে পারে। তাই—
- সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারে সীমাবদ্ধ থাকুন
- ব্যবহার করার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগান
- যাদের সংবেদনশীল বা অ্যালার্জিপ্রবণ ত্বক, তারা আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন সমস্যা হয় কিনা বোঝার জন্য ।
সাধারণ নুনের তুলনায় হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট ত্বকের যত্নে আরও কার্যকর ও নিরাপদ। যেমন বলিরেখা, উজ্জ্বলতা হারানো, রুক্ষভাব—এই সব কিছুর সমাধানে এটি প্রাকৃতিক ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হতে পারে আপনার জন্য।Himalayan pink salt benefits