

Sundarban Natural Honey (সুন্দরবন প্রাকৃতিক মধু)
৳ 480 – ৳ 1,800
Sundarban Natural Honey (সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু)
মধু হচ্ছে আপনার শরীরের জন্য শ্রেষ্ঠ খাবার। জান্নাতের যেসব খাবার আল্লাহতায়ালা দুনিয়াবাসীদের জন্য পাঠিয়েছেন তার মধ্যে মধু অন্যতম। মধু আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ নেয়ামত। এতে রয়েছে অসংখ্য রোগের শেফা।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলুন আর ধর্মগ্রন্থ সব জায়গায় মধুকে দেয়া হয়েছে যথেষ্ট গুরুত্ব। মৌমাছি নিয়ে আল কুরআনে একটি সূরাও নাজিল হয়েছে। যার নাম ‘নাহল’। সূরা মোহাম্মদে মহান আল্লাহ্ জান্নাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন “এর তলদেশে প্রবাহিত হবে মধুর প্রবাহ”
মধু সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,তার পেট থেকে নির্গত হয় বিভিন্ন রং এর পানীয়,যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য। নিশ্চয় এতে রয়েছে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন।(সুরা নাহাল ৬৯)
নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন সকালে মধু চেটে খাবে, তার বড় ধরনের কোন রোগ হবে না।’ (ইবনে মাজাহ : ৩৪৪১)
হাজারো গুণে ভরা মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রূকটোজ আছে যা শরীরে শক্তি যোগায়। অনেক প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানও আছে। যেমন- এনজাইম বা উৎসেচক, খনিজ পদার্থ (যথা পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ) ও প্রোটিন আছে। মধুতে কোনো কোলেস্টেরল নেই। তাই সুস্থ অসুস্থ যে কেউ মধু খেতে পারেন।
Sundarban Natural Honey (সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু)
Sundarban Natural Honey (সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু)
ওয়াফা ফুড যাত্রার শুরু থেকেই আপনাদের জন্য সেরা মানের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে, যার মধ্যে মধু অন্যতম।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবনে প্রাচীনকাল থেকে একদল মানুষ মধু সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন,প্রাকৃতিক মধু বলতে বুঝায় মৌচাক কেটে সংগ্রহ করা মধু।
প্রাকৃতিক মধু সংগ্রহের জন্য মৌয়ালরা সুন্দরবনের গহীনে চলে যায়। মৌয়ালরা মধু সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন নৌকাতে করে চাকের খোঁজে পাড়ি জমায় বনের গহীনে।
প্রায় দশ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনের জলে কুমির ডাঙায় বাঘ। বাংলাদেশ আর ভারত মিলে বিস্তৃত এ বনের বড় অংশটাই বাংলাদেশের বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে।
সুন্দরবন, আমাদের গর্বের প্রতীক, যা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বন। বাংলাদেশের মোট আয়তনের ৪.২ ভাগ এবং দেশের মোট বনভূমির ৪৪ ভাগজুড়ে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সুন্দরবন। সুন্দরবনে যত প্রাকৃতিক সম্পদ আছে তার মধ্যে অন্যতম হল সুন্দরবনের মধু। সুন্দরবনের মধু পৃথিবীর বিখ্যাত মধুগুলোর মধ্যে অন্যতম। সুন্দরবনের মধু আহরণের উপর নিভর্র করে গড়ে ওঠেছে মৌয়ালি নামের এক ঐতিহ্যগত বননির্ভর পেশা ও জীবন।
সুন্দরবনের ভেতরে মধু সংগ্রহ করতে রাজস্ব দিয়ে বন বিভাগের অনুমতি নিতে হয় মৌয়ালদের।
মৌয়ালদের বনের ভিতরে ঢুকে মধু সংগ্রহের এ সুযোেগ মেলে তিন মাস। একবারে কেবল ত্রিশ দিনের জন্য অনুমতি পান মৌয়ালরা।
যাত্রার শুরুতে মৌয়াল দল নৌকায় প্রার্থনা করেন। মধু সংগ্রহ শেষে নিরাপদে ফিরে আসার প্রার্থনা জানান প্রভুর কাছে। প্রতি বছরই অনেক মৌয়াল নিরাপদে ফিরে আসতে পারেন না। বছররে গড়ে ৮ থেকে ১০জন মৌয়াল বাঘের আক্রমণের শিকার হন।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে মৌয়ালরা নৌকা নিয়ে ছোটেন সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। প্রথা অনুযায়ী মৌয়ালরা বেজোড় সংখ্যায় জঙ্গলে প্রবেশ করেন। সাধারণত পাঁচ থেকে তেরোজন মৌয়াল থাকেন একেকটি দলে।
সাধারণত মৌমাছির গতিবিধি দেখে জঙ্গলে ঢোকেন মৌয়ালরা। মৌমাছির গতিপথ দেখে চাক খুঁজে পান তাঁরা। তবে চাক ভাঙার সিদ্ধান্তটি নেন দলনেতা, মৌয়ালরা যাঁকে বলেন বহরদার।
চাক খুঁজে পেলে বনের পাতা দিয়ে তৈরি করা হয় কারু। এই কারুতে আগুন জ্বালিয়ে ধোঁয়া তৈরি করা হয় চাক থেকে মৌমাছি তাড়ানোর জন্য।
বহরদারের অনুমতি মিললে জ্বালানো কারু নিয়ে গাছে চড়েন একজন। চাকে
ধোয়া দিয়ে পোকা তাড়িয়ে দেন।
পোকা সরে গেলে শুরু হয় চাক কাটা। নীচে বেতের তৈরি ধামা পেতে মধু ভর্তি কাটা চাক ধরেন আরেকজন। চাক কাটা শেষে মধু নিয়ে নৌকায় ফেরেন মৌয়ালরা।
সুন্দরবনের সবচেয়ে ভালো মানের মধু খলিসা ফুলের ‘পদ্ম মধু’। মানের দিক থেকে এরপরেই গরান ও গর্জন ফুলের ‘বালিহার মধু’। মৌসুমের একেবারে শেষে
আসা কেওড়া ও গেওয়া ফুলের মধু অপেক্ষাকৃত কম সুস্বাদু।
সারা বাংলাদেশে যে সমস্ত মধু পাওয়া যায় এগুলার মধ্যে স্বাদ,গুণে,মানে ও পুষ্টিতে সব দিক থেকে সুন্দরবনরে মধু সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ও ঔষধি গুণে ভরপুর । সুন্দরবনে যে সমস্ত গাছের ফুলের মধু সংগ্রহ হয় তার মধ্যে অন্যতম হল খলিসা গাছ, গড়ান গাছ, কেওরা গাছ, বাইন গাছ ও গেওয়া গাছের ফুলের মধু। সুন্দরবনের মধু সংগ্রহ হয় চৈত্র, বৈশাখ, জৈষ্ঠ এই তিন মাস। সুন্দরবনে চৈত্র মাসে প্রথম যে মধুটা উৎপন্ন হয় তা হল খলিশা গাছের ফুলের হালকা লাল পদ্মা সবচেয়ে ভালো মানের মধু ।
মানের দিক থেকে এরপরেই গরান ও গর্জন ফুলের ‘বালিহার মধু, লাল কালারের হবে। তার পরে হবে কেওরা গড়ান একটু গাড় লাল। মৌসুমের একেবারে শেষে আসা বাইন ও গেওয়া ফুলের মধু অপেক্ষাকৃত কম সুস্বাদু।
এক সুন্দরবনেই তিন কালারের মধু উৎপন্ন হয়। আমরা সুন্দরবনের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মধু অভিজ্ঞ ও প্রশিদ্ধ মৌয়ালদের দ্বারা মধু আহরন ও সংগ্রহ করে, সারা বৎসর বাজারজাত করি তাই এ মধুর স্বকীয়তা, গুণগত মান নিয়ে আপনাকে আমরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারবো ইনশাল্লাহ।
✅সুন্দরবনের (ম্যানগ্রোভ) মধুর বৈশিষ্ট্যে :
১। সুন্দরবনের মধু আবহাওয়াগত কারণে সবসময় পাতলা হয়
২ । মৌসুষের শুরুতে সাদাটে দেখায় তবে সুন্দনবনের ফুল ও সময় পরিবর্তনের সাথে লালচে রঙ ধারণ করে।
৩। খেতে খুবই সুস্বাদু, হালকা টকটক মিষ্টি ও কিছুটা ঝাঝালো লাগে। মধুতে বুনো ঘ্রাণ থাকে।
৪। মধুর বোতলে ঝাঁকি লাগলে অনকে সময় ফেনা সৃষ্টি হয়।
৫। মধুর উপরে পোলেনের স্তর দেখা যায়।
৬। সুন্দরবনরে মধুতে খলিশা, গরান, কেওড়া হরগোজা, পশুর, মঠগরান, কাকড়া, লতা ফুলের নেকটার থাকে।
সুন্দরবনের মধুতে খলিসা ফুলের নির্যাস বেশি থাকে,এই মধু সুস্বাদু হয়। তবে একটু পুরনো হয়ে গেলে খানিকটা গন্ধ নাকে আসতে পারে। এক্ষেত্রে হালকা তাপ দিলে এই গন্ধ দূর হয়ে যায়।
Sundarban Natural Honey (সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু)
নকল ও ভেজাল মধু চেনার উপায়
১। সব মৌসুমে সারা বছর মধুর স্বাদ ও ঘ্রাণ প্রায় একই থাকে যা খাঁঁটি মধুর ক্ষেত্রে হয় না।
২। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষারা দ্বারা নিশ্চিত হওয়া যায়।
৩। এতে পোলেনের উপস্থিতি পাওয়া যায় না।
প্রাকৃতিক মধু (Natural Honey) চেনার কিছু পরীক্ষা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা
১। অনেকে পানিতে এক ফোঁটা মধু দিয়ে পরীক্ষা করেন। মূলত মধুর আপেক্ষিক গুরুত্ব পানি অপেক্ষা বেশি থাকায় এটি পানির নিচে জমা হয়ই। কিন্তু অনেকের ধারণা মধু পানিতে ঢাললে যদি সটান নিচে চলে না যায় তবে সেই মধু খাঁটি নয়। কিন্তু মধু কীভাবে নিচে জমা হবে তা নির্ভর করে এর ময়েশ্চারের উপর। সাধারণত সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধুতে ময়েশ্চার বেশি থাকায় এটি পানিতে দিলে একটি বিক্ষিপ্ত হয়ে এরপর তলানিতে গিয়ে জমা হয়।
২। আগুন জ্বালিয়ে মধুর বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। কিন্তু আসল মধু ও নকল মধু উভয়ই আগুনে জ্বলে।
৩। নকের উপর রাখলে গড়িয়ে পরে কি না সেইটার ভিত্তিতেও অনেকে পরীক্ষা করে থাকেন। এক্ষেত্রেও মধুর ময়েশ্চারের উপর নির্ভর করে। মধুর ময়েশ্চার বেশি হলে গড়িয়ে পরবে। এর মাধ্যমে আসল বা নকল চিহ্নিত করা যায় না।
৪। মধুতে পিঁপড়া উঠবে না – এমন এক ধরনের কথা প্রচলিত আছে। কিন্তু খাঁটি মধুতেও পিঁপড়া উঠে।
৫। খাঁটি মধু জমে যাবে না – এমন একটি ধারনা প্রচলিত আছে যা মূলত ভুল ধারণা। বরং মধু জমে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। একে মধুর স্ফটিকাকায়ন বলা হয়। এর ফলে মধুর স্বাদ গন্ধে কোনরূপ পরিবর্তন আসে না।
Sundarban Natural Honey (সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু)
Weight | N/A |
---|---|
Weight |
1 KG ,500 gram ,250 gram |
Reviews
There are no reviews yet.