Mustard oil (সরিষার তেল)

৳ 270৳ 1,350

সরিষার তেল, যা সরিষার বীজ থেকে উৎপাদিত হয়, এর উৎপত্তি ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় ৩০০০ বছর আগে। প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা এবং আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে সরিষার তেলকে বহুমুখী উপকারিতার জন্য উচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে সরিষার তেল রান্না, চিকিৎসা এবং সৌন্দর্য রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

Description

Mustard oil (সরিষার তেল)

উৎকৃষ্ট দানায় তৈরী খাঁটি সরিষার তেল রাখবে আপনার শরীর ও মনকে সুস্থ।

বাঙালির রান্নায় সরিষার তেল না থাকলে যেন জমে না। মাছ ভাজা, নানা রকম ভর্তা, মুড়ি মাখা, আচারের মতো মুখরোচক খাবারে সরিষার তেল যোগ করে আলাদা স্বাদ।

রান্নার স্বাদ আর স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় সরিষার তেলের জুড়ি নেই। কিন্তু সরিষার তেল ‍যদি হয় ভেজাল, তাহলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থাকে অনেক অনেক বেশি। তাই সরিষার তেল হওয়া চাই একেবারে খাঁটি ও ন্যাচারাল।

তাই প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহার করুন কাঠের ঘানিতে ভাঙ্গা ওয়াফার  খাঁটি সরিষার তেল।

নেই কোনো কৃত্রিমতা প্রতিটি ফোঁটায় রয়েছে বিশুদ্ধতার।

প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:

– বিশুদ্ধ: কোনো প্রকার জেনেটিকালি মডিফাই কেমিক্যাল বা প্রিজারভেটিভস ছাড়া প্রস্তুত করা।

– ঠান্ডা পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত: সরিষা থেকে ঠান্ডা পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত করাযা তেলের পুষ্টিগুণ এবং স্বাদ বজায় রাখে।

– উচ্চ পুষ্টিগুণ: ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডঅ্যান্টিঅক্সিডেন্টএবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ।

– স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয়: প্রাকৃতিক ভাবে প্রস্তুত হওয়ার কারণে এর স্বাদ ও গন্ধ খুবই সমৃদ্ধ।

 

 উপকারিতা:

সরিষার তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট (সম্পৃক্ত চর্বি) খুব কম থাকে ফলে এই তেল হার্টের জন্যে খুব ভালো। সরিষার তেলে প্রচুর পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে এই ফ্যাটগুলো হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমায়। সরিষার তেলে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাট থাকে এই ভালো ফ্যাটগুলো মস্তিষ্কে এবং হার্টে শক্তি যোগান দেয়।

1. হৃদরোগ প্রতিরোধ: হৃদরোগজনিত জটিলতায় কারণে বিশ্বে প্রতিবছর অনেক মানুষ মারা যায়। সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধযা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সহায়ক। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

2. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস:

– সরিষার তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধযা শরীরের মুক্তমূলকণার ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়ক। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস শরীরের কোষগুলোকে সুরক্ষিত রাখে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

 

3. ত্বক ও চুলের যত্ন:

– সরিষার তেল ত্বক এবং চুলের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে থাকা ভিটামিন ই ত্বক এবং চুলের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং চুলের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে। (Singh, G., & Kumar, P. (2012). Mustard oil for hair and skin: A comprehensive review. Journal of Cosmetology.)

 

4. হজম সহায়ক:

– সরিষার তেল হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে এবং পাচনতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড হজমে সহায়ক এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। (Gopalan, C., & Sharma, K. N. (1974). Dietary fats and gastrointestinal function. American Journal of Clinical Nutrition.)

 

5. প্রদাহ কমাতে সহায়ক:

– সরিষার তেল প্রদাহ কমাতে সহায়ক। এতে থাকা অ্যালিল আইসোথায়োসায়ানেট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহজনিত রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরের প্রদাহ কমায়।

6. শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা নিরসন:

– সরিষার তেল সর্দিকাশি এবং হাঁপানির সমস্যা নিরসনে সহায়ক। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান বাষ্প থেরাপি বা সরাসরি ম্যাসাজ করে ব্যবহার করলে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

 

7. রক্তসঞ্চালন উন্নত:

– সরিষার তেল রক্তসঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে এবং পেশীর শিথিলতায় সহায়ক। এটি ম্যাসাজ তেল হিসেবে ব্যবহার করলে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং পেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

8. ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাস প্রতিরোধ:

– সরিষার তেল ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাস প্রতিরোধে সহায়ক। এতে থাকা অ্যালিল আইসোথায়োসায়ানেট উপাদান ত্বকের সংক্রমণ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

 

9. ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনা:

– সরিষার তেল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক। এতে থাকা ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এই তেল শরীরের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমাতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। 

10. গবেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেলে থাকা ওমেগা থ্রি পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। 

11. এই তেল রান্নায় ব্যবহারে করলে শতকরা ৫০ ভাগ টিউমারের আশঙ্কা কমে যায়।

12. সরিষার তেলে থাকা অ্যালিল আইসোথিয়োকানেট উপাদান মূত্রাশয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৩৪ ভাগ কমায়। 

13. সরিষার তেলে থাকা অ্যান্টিবমাইক্রোবিয়াল উপাদান হজমশক্তি উন্নত করে ও দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। 

14. সরিষার তেলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকায় ওজন কমায়। 

 

ব্যবহারের উপায়:

– রান্নায়: সরিষার তেল উচ্চ তাপমাত্রায় রান্নার জন্য উপযোগী এবং বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে।

– সালাদ ড্রেসিং: সালাদ ড্রেসিং এবং মেরিনেডে ব্যবহার করে অতিরিক্ত স্বাদ যোগ করুন।

– সৌন্দর্য চর্চায়: ত্বক ও চুলের জন্য সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন অথবা ময়েশ্চারাইজার এবং হেয়ার মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

– প্রাকৃতিক ম্যাসাজ তেল: পেশী শিথিলতায় এবং রক্তসঞ্চালন উন্নত করতে ম্যাসাজ তেল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

 

কেন আমাদের সরিষার তেল নির্বাচন করবেন?

প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর পণ্য: বাছাইকৃত সেরা জাতের দেশী সরিষা দানা থেকে, কোনো প্রকার কৃত্রিম রং কেমিক্যাল বা প্রিজারভেটিভস ছাড়া উৎপাদিত হয় ওয়াফার খাঁটি সরিষার তেল।

– গুণগত মানে আপোষহীন: আমরা আমাদের সরিষার তেলের গুণগত মান বজায় রাখতে আপোষহীন।উচ্চ মানের এবং বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা হয়।

– বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত উপকারিতা: বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সরিষার তেলের উপকারিতা প্রমাণিত হয়েছেযা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

– পরিবেশ বান্ধব সংগ্রহ: আমরা পরিবেশ বান্ধব উপায়ে সরিষার তেল সংগ্রহ করিযা প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

– গ্রাহক সন্তুষ্টি: আমাদের গ্রাহকের সন্তুষ্টি আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। উচ্চ মানের পণ্য সরবরাহ করার পাশাপাশি আমরা সর্বোত্তম গ্রাহক সেবা প্রদান করি।

 

 

Additional information
Weight N/A
liter

1ltr

,

2 LTR

,

5Ltr

Reviews (0)

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “Mustard oil (সরিষার তেল)”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shipping & Delivery

ঢাকা শহরের ভিতরে হোম ডেলিভারিঃ
৮০ টাকা


ঢাকার বাইরেঃ
১৩০ টাকা